বেশি কথা বলার উপকারিতা - বেশি কথা না বলার উপায়

বেশি কথা বলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিচে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হবে। বেশি কথা বলার উপকারিতা সমূহ অপকারিতার চেয়ে বেশি নাকি, বেশি কথা বলার অপকারিতা গুলো বেশি কথা বলার উপকারিতার চেয়ে বেশি সেই সম্পর্কে নিচে তুলনামূলক আলোচনা করা হবে।

পেজ সূচিপত্র: বেশি কথা বলার উপকারিতা - বেশি কথা না বলার উপায়

উপস্থাপনা 

অনেকে বেশি কথা বলতে পছন্দ করে। আবার কেউ কেউ বেশি কথা বলা লোক পছন্দ করে না। বলে বেশি কথা বলা উপকারী নাকি অপকারী সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

বেশি কথা বলার উপকারিতা

যে সকল লোক একেবারেই কম কথা বলে এবং নিজেকে এক্সপ্রেস করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে কিছুদিন অধিক পরিমাণে কথা বলা বাঞ্ছনীয়। কেননা কিছুদিন যদি সেই সকল ব্যক্তি অধিক পরিমাণে কথা বলে তাহলে তাদের ভেতরের জড়তাটা আস্তে আস্তে কেটে উঠবে এবং সে অনর্গল কথা বলতে অভ্যস্ত হবে, যা তার নিজর ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে সাহায্য করবে। 
তবে কন্টিনিউয়াসলি অধিক পরিমাণে কথা বলা কখনোই উচিত নয়। বেশি কথা বলার অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। যাইহোক আর্টিকেলটি এই অংশে বেশি কথা বলার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো। 
  • একাকীত্ব দূর করে: বেশি কথা বলার উপকারিতা সমূহের মধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারিতা হলো আপনি যখন অধিক পরিমাণে কথা বলবেন তখন আপনার একাকীত্ব দূর হয়ে যাবে এবং আপনি সঙ্গী পাবেন। তাই একাকীত্ব দূর করার জন্য আপনি অধিক পরিমাণে কথা বলতে পারেন। 
  • মানসিক চাপ হ্রাস করে: আপনি যদি খোলাসা ভাবে আপনার মনের কথা অন্য জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মানসিক চাপ হ্রাস পাবে। সুতরাং মানসিক চাপ হ্রাস করা বেশি কথা বলার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি উপকারিতা। 
  • যোগাযোগ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা থাকে: আপনি যদি কারো সাথে যোগাযোগ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে, ওই ব্যক্তির সাথে কথা বলতে হবে। আর যেই ব্যক্তি আগ বাড়িয়ে কারো সাথে কথা বলতে পারেনা বা অধিক পরিমাণে কথা বলতে পারে না সে কিন্তু কখনোই অপরিচিত ব্যক্তির সাথে পরিচিত হতে পারবেনা। সুতরাং কারো সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে চাইলে আপনাকে তার সাথে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে হবে। 
  • নতুন নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়: আপনি যখন কারো সাথে কথা বলবেন তখন নতুন নতুন আইডিয়া আপনার মাথায় চলে আসবে। আর তাই বলা হয় অধিক পরিমাণে কথা বলা নতুন নতুন আইডিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার একটি উপায়: অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা পাবলিক প্লেসে কথা বলতে ভয় পায়, তাদের জন্য অধিক পরিমাণে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার ভিতরে যতই জ্ঞান গরিমা থাকুক না কেন তা যদি আপনি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে না পারেন তাহলে কিন্তু নিজেকে যোগ্য হিসেবে সমাজে পরিচিত করাতে পারবেন না এবং আপনার জ্ঞান থেকে অন্য মানুষ উপকৃত হতে পারবেনা। তাই অবশ্যই আপনাকে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করার জন্য অধিক পরিমাণে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। 

বেশি কথা না বলার উপায়

অনেকেই বেশি বেশি কথা বলে থাকে। আর বেশি বেশি কথা বলার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি তাদের ওই একজন হয়ে থাকেন এবং নিজেকে বেশি বেশি কথা বলা থেকে বিরত রাখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কথা না বলার উপায় সমূহ যথাযথভাবে অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি যথাযথভাবে, বেশি কথা না বলার উপায় সমূহ অবলম্বন করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি অধিক কথা বলার অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। 
  • নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন: অপ্রয়োজনীয় ভাবে অতিরিক্ত কথা বলা কোনভাবেই সমীচীন নয়। বেশি কথা না বলার উপায় সময়ের অন্যতম একটি উপায় হল নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া। আপনি যদি নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হন তাহলে কিন্তু আপনি অধিক পরিমাণে কথা বলবেন না। কেননা আপনি যতোটুকু মূল্যায়ন পাবেন ঠিক ততটুকুই কথা বলবেন এর বেশি কথা বললে আপনার ব্যক্তিত্ব হ্রাস পাবে। 
  • অতিরিক্ত কথা বলে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন: অতিরিক্ত কথা বলা মানেই হল অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা আপনি অতিরিক্ত কথা বলার সময়টুকু যদি কাজে লাগান তাহলে ক্যারিয়ারে অনেক ভালো করতে পারবেন তাই বেশি কথা না বলার উপায় হলো অতিরিক্ত কথা বলার সময় কে কাজে লাগানো।
  • চুপ করে থাকাকে পছন্দনীয় করে তুলুন: আপনি চুপ থাকাকে নিজের পছন্দনীয় কাজ হিসেবে বিবেচনা করুন। চুপচাপ থাকা যখন আপনার কাছে পছন্দনীয় হয়ে উঠবে তখন আপনি অতিরিক্ত কথা বলার অভ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন। 
  • চিন্তা ভাবনা করে কথা বলুন: কথা বলার পূর্বে চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত কেননা আপনি একটি কথা যখন বলে ফেলবেন তখন সেই কথা কখনোই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না আর চিন্তা ভাবনা করে কথা বলতে হলে অবশ্যই আপনাকে অল্প পরিমাণে কথা বলতে হবে। 
  • মূল্যবান কথা বলার চেষ্টা করুন: ১০০ টা মূল্যহীন কথা বলার চেয়ে একটা মূল্যবান কথা বলা অধিক শ্রেয়। কেননা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেশি কথা বলার উপকারিতা নেই। অধিক পরিমাণ কথা বলা মানেই সেই কথাগুলো মূল্যহীন কথা। আপনি যদি এই দিক থেকে বিবেচনা করেন তাহলে কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। 

বেশি কথা বলার অপকারিতা

বেশি কথা বলার অনেক অপকারিতা রয়েছে, আর এ কারণেই মনীষীগণ অধিক পরিমাণে কথা বলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিচে বেশি কথা বলার অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 
  • বেশি বেশি কথা বলা অহমিকার বহিঃপ্রকাশ: বেশি কথা বলার অপকারিতা সমূহের মধ্যে প্রথমটি হলো অতিরিক্ত কথা বলার কারণে নিজের অহমিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আপনি যখন নিজে নিজেই কথা বলবেন অপর কাউকে কথা বলার সুযোগ দিবেন না এর মানে হলো আপনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করছেন। যা নিঃসন্দেহে অহংকারের বহিঃপ্রকাশ। 
  • বেশি কথা বললে সম্মান কমে যায়: আপনি যখন অধিক পরিমাণে কথা বলবেন তখন সমাজে এবং আপনার পরিচিতজনদের কাছে আপনার কথার মূল্য কমে যাবে। অর্থাৎ আপনার সম্মান কমে যাবে।
  • অধিক কথা বললে ব্যক্তিত্ব কমে যায়: অতিরিক্ত কথা বললে নিজের ব্যক্তিত্ব ও খর্ব হয়।প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যদি আপনি কথা বলেন তাহলে আপনার কথার মূল্য কমে যাবে এবং জনগণ আপনার কথাকে অর্থহীন হিসেবে মনে করবে। 
  • বেশি কথা বললে কথার পাপ বেশি হয়: বেশি কথা বলার অপকারিতা সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অপকারিতা হলো অধিক পরিমাণে কথা বললে অধিক পরিমাণে পাপ হয়। 
  • অধিক পরিমাণে কথা বললে লজ্জা কমে যায়: যে ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় ভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে কথা বলে, স্বভাবগতভাবেই তার লজ্জা অনেক কমে যায় এবং ব্যক্তিত্ববোধ কমে যায়। 

উপসংহার

বেশি কথা বলার উপকারিতা, সম্পর্কে উপদেশ বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি লিখিত তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে এবং উপর উল্লেখিত তথ্যগুলো থেকে আপনি উপকৃত হতে পেরেছেন। উপর উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার পছন্দ হলে এই আর্টিকেলটি সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪