ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো

আপনারা কি নতুনদের জন্য কোনটা ভালো ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো বা ফাইবার ও আপওয়ার্কে কাজ পাবেন কিভাবে সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব ফাইবারের সুবিধা ও অসুবিধা, আপওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধা এবং ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো

ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো| নতুনদের জন্য কোনটা ভালো ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক

যারা বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করে, তাদের কাছে সবচেয়ে দুটি জনপ্রিয় ও পরিচিত মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার ও আপওয়ার্ক। আমাদের দেশের হাজার হাজার তরুণ তরুণী ফাইবার ও আপওয়ার্কের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করে। যারা এখন নতুন ফ্রিল্যান্সার তারা হয়তো কেউ জানে আবার কেউ ডিসাইড করতে পারে না যে নতুনদের জন্য কোনটা ভালো ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো।

আরো পড়ুনঃ ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো

আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো বা সুবিধাজনক মনে হবে আপনার কাছে। আপনি যদি আগে থেকেই না চিনে থাকেন যে ফাইবার ও আপওয়ার্কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোনটা সুবিধা জনক অবস্থানে আছে।

তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে হয়তো আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে ফাইবার ও আপওয়ার্কের মধ্যে কোনটা সবচাইতে সুবিধাজনক বেশি। নিচে ফাইবার ও আপওয়ার্কে কাজ পাবেন কিভাবে এবং ফাইবারের সুবিধা ও অসুবিধা, আপওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ফাইবার ও আপওয়ার্কে কাজ পাবেন কিভাবে

ফাইবার ও আপওয়ার্কে কাজের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। ফাইবারের যে কোন সেবার অফার কে বলা হয় গিগ। ফ্রিল্যান্সাররা গিগ পোস্ট করে থাকেন এবং সেখান থেকে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গিগ বেছে নিয়ে থাকে। অর্থাৎ গ্রাহকরা ফাইবারে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার বেছে নিয়ে থাকে। তবে বায়ার চাইলে ফাইবারে জব পোস্ট করতে পারেন, যেখানে বিট করতে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা। এভাবেই ফাইবারে কাজ পেতে পারেন। অপরদিকে আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সার গন নিজেদের কাজ, অভিজ্ঞতা এসব তাদের প্রোফাইলে তুলে ধরে।

আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় - হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়

তাদের যে কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার আবশ্যক গ্রাহক গণ সেটার বিবরণ দিয়ে মূলত জব পোস্ট করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সারেরা কাজের তালিকা দেখে নিজেদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল রেখে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠিয়ে থাকে। আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারের তালিকা থেকে ক্লায়েন্টরা তাদের পছন্দের এক বা একাধিক জনকে নির্বাচন করে চুক্তিবদ্ধ করেন। আবার কোন ফ্রিল্যান্সারকে কাজের জন্য গ্রাহকগণ চাইলে ইনভাইটেশনও পাঠাতে পারে।

ফাইবারের সুবিধা ও অসুবিধা

আপনি দেখবেন ফাইবারে এমন কিছু সুবিধা রয়েছে যা অন্যান্য কোন মার্কেটপ্লেসে পাবেন না। কেননা, আপনি ফাইবারে অল্প পরিশ্রম করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন অনেক ডলার। আবার ফাইবারে কাজ করার কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। নিচে ফাইবারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হলো।

ফাইবারের সুবিধাঃ

  • ফাইবারে দিনের মধ্যে কিছু সময় দিলেই হবে। ফাইবারে সারাদিন থাকার প্রয়োজন পড়ে না।
  • এখানে আপনি কিছু ক্রিয়েটিভ কাজ পাবেন। যা অন্যান্য সকল মার্কেটপ্লেসে পাবেন না।
  • আপনি যদি ভাল কিওয়ার্ড দিয়ে গিগ তৈরি করতে পারেন তাহলে অনেক ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
  • যদি আপনি ফাইবারে দশটা গিগ সেল করে থাকেন এবং ফিডব্যাক পাওয়া যায় ও অ্যাকাউন্টটা যদি অ্যাক্টিভ থাকে এক মাস। তাহলে লেভেল ১ এ যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে একাউন্টে ফাইবার কর্তৃপক্ষ লেভেল ১ এর একটা ব্যাচ দিবে। যা ভালো দিক হতে পারে আপনার কাজের জন্য।
  • যারা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে নতুন তাদের উচিত কাজ করা। কেননা নতুনরা খুব সহজেই এখানে কাজ পাবে।

ফাইবারের অসুবিধাঃ

  • আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরে ফাইবারে কাজ করতে হবে। কেননা ফাইবারে প্রথম দিকে গিগ খুব কম কম সেল হতে পারে।
  • এত গিগের মধ্যে ফাইবারে আমার গিগ কিভাবে গ্রাহক খুঁজে পাবে, সে জন্য একটু আলাদা মার্কেটিং করা লাগবে।
  • ফাইবার মার্কেটপ্লেসে সবচাইতে বড় ধরনের সমস্যা হলো এটা খুবই সেনসিটিভ একটা মার্কেটপ্লেস। এরা আপনার অ্যাকাউন্টটি সামান্য পরিমাণ সমস্যার জন্য যেকোনো মুহূর্তে ডিলেট করে দিতে পারে। তবে আপনার একাউন্টে কোন ব্যালেন্স থেকে থাকলে সেটা ৪৫ দিন পর ফেরত দিয়ে দেয়। সেজন্য আপনাকে এখানে কাজ করতে হলে খুব সাবধানে কাজ করা লাগবে।।

আপওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধা

আপওয়ার্কের কাজ করার যেমন সুবিধা আছে তেমন কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। এটা শুধুমাত্র আপওয়ার্কেরর ক্ষেত্রে নয়। প্রত্যেকটা জিনিসেরই যেমন সুবিধা থাকে তেমন কিছু অসুবিধা ও থাকে। আপওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আপনি আপওয়ার্কে প্রত্যেকটা স্কিলের জন্য আলাদা আলাদা স্পেসিয়ালাইজ প্রোফাইল করতে পারবেন। যেমন ধরেন, আপনি মার্কেটিং করছেন।

আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় - হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়

এখানে আপনার প্রোফাইলে মার্কেটিং থাকার পরও সম্পূর্ণ আলাদা কোন স্কিল এর জন্য একই পাশে প্রোফাইলে স্পেশালাইজ প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। আপনাকে নতুন স্কিলের জন্য এখন আর নতুন করে প্রোফাইল তৈরি করা লাগবে না। অপরদিকে আপওয়ার্কে বা যে কোন অন্য প্ল্যাটফর্মে একের অধিক আপনি প্রোফাইল করতে পারবেন না। আবার আপনার প্রোফাইলের নাম ও ভোটার আইডি কার্ডের নাম আপওয়ার্কে ভেরিফিকেশনের জন্য অবশ্যই এক হওয়া লাগবে।

শেষ কথাঃ ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো

নতুনদের জন্য কোনটা ভালো ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো কিভাবে ফাইবার ও আপওয়ার্কে কাজ পাবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই ফাইবার নাকি আপওয়ার্ক কোনটা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪