প্রস্রাব না হলে করণীয় - শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয়
আপনার মূত্রাশয়টি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের সব বর্জ্য পদার্থ বাহিরে বের করে দেয়। প্রস্রাব না হলে করণীয় বা শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয় কাজ কি আপনারা জানতে চান? প্রস্রাব না হলে করণীয় ও ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়ুন। প্রস্রাব না হলে করণীয় এবং নবজাতক শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয় সম্পর্কে এই পোস্টে জানাবো।
অনেক সময় আপনার প্রস্রাব ধরে রাখেন বা আপনি প্রস্রাব করার সময় আপনার মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি হয় না। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে এবং এই সমস্যা ব্লকেজ, ওষুধ বা স্নায়ুর সমস্যার কারণে হতে পারে।
সূচিপত্রঃ প্রস্রাব না হলে করণীয়
- প্রস্রাব না হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
- প্রস্রাব না হওয়া কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
- প্রস্রাব না হলে করণীয়
- প্রস্রাব না হওয়ার কারণ?
- শেষ কথা
প্রস্রাব না হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
প্রস্রাব না হওয়ার লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। কারো কারো এই সমস্যা হলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালা পোড়া করে, কারো প্রস্রাব করার পরও মনে হয় যে প্রস্রাব আটকে আছে অথবা ফোটা ফোটা প্রস্রাব হয়। তাই ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় ও প্রস্রাবের রাস্তায় ঘা হলে করণীয় জানতে হবে।
প্রস্রাব না হলে যে লক্ষণ গুলি দেখা দিতে পারেঃ
- তলপেটে ব্যথা
- bloating
- প্রস্রাব করার জরুরী প্রয়োজন
- আপনার মূত্রাশয় খালি করতে পারেন না
অনেকদিন প্রস্রাব না হওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
- পেটে খুব চাপ
- একটি দুর্বল প্রস্রাব প্রবাহ
- পেটে ব্যথা
- ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
- আপনার মূত্রাশয় সম্পূর্ণরূপে খালি হয় না
প্রস্রাব না হওয়া সমস্যা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
প্রস্রাব না হওয়া সমস্যা বা কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক তা নির্ণয় করতে একজন ডাক্তার প্রথমে আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং একটি শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন। শারীরিকভাবে আপনার যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বারের একটি পরীক্ষা করতে পারেন যা মূত্রাশয়, মুত্রনালী এবং সেই জায়গার মধ্যে পড়ে। আরো কিছু পরীক্ষা আছে যা রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছেঃ
- প্রস্রাবের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করা
- রক্ত পরীক্ষা করা
- ইউরোডাইনামিক পরীক্ষা যা আপনার মূত্রাশয় কতটা প্রস্রাব ধরে রেখেছে তা পরিমাপ করে
- পোস্ট-ভয়েড রেসিডুয়াল
- সিস্টোস্কোপি
- ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি
- সিটি স্ক্যান
- আল্ট্রাসাউন্ড
প্রস্রাব না হলে করণীয়
প্রস্রাব না হলে বা কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক তার জন্য চিকিত্সা আপনার এই সমস্যার অল্প সময়ের জন্য কিন্তু খুব তীব্র হয় তার জন্য এক ধরনের চিকিৎসা এবং অনেকদিন ধরে যদি এই সমস্যা থাকে তার জন্য এক ধরনের চিকিৎসা করা হয়। তীব্র ধরনের জন্য মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব বের করার জন্য মূত্রনালীতে একটি ক্যাথেটার রাখা হয়। মানুষের সাথে সাথে পশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে তাই ছাগলের প্রস্রাব না হলে করণীয় জানতে হবে।
খুব বেশি সমস্যার জন্যঃ প্রস্রাব না হওয়া আর সেটা যদি খুব তীব্র হয় তাহলে আপনার এখনই চিকিত্সার প্রয়োজন হবে। দ্রুত প্রস্রাব বের করতে সাহায্য করার জন্য মূত্রাশয় এ ক্যাথেটার ঢোকানো হতে পারে। আপনি ক্যাথেটার থেকে ব্যথা বা অস্বস্তি লাগবে না।
যদি কোনও ক্যাথেটার কাজ না করে বা কোনও আঘাত বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে ব্যবহার করা না যায়, তাহলে একজন ডাক্তার আপনার মূত্রাশয়ের উপরে প্রস্রাব বের করার জন্য একটি সুপ্রাপুবিক ক্যাথেটার ঢোকাতে পারেন। আর আপনার যদি অনেক দিন ধরে প্রস্রাব না হওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে তার কারণের উপর নির্ভর করে তার চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু বড়দের থেকে নবজাতক শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয় কখন কখন আলাদা হতে পারে।
বাড়ন্ত প্রস্টেটের জন্য ওষুধঃ একটি বাড়ন্ত প্রস্টেটযুক্ত পুরুষদের জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে যা মূত্রনালিকে খুলতে বা সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে। ঔষধ গুলো আপনি ডাক্তারের কাছে তারা লিখে দিবেন। এছাড়াও প্রোস্টেট খোলার জন্য অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে।
ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচারের চিকিৎসাঃ ইউরেথ্রাল স্ট্রিক্টারের জন্য ক্যাথেটার এবং বেলুন দিয়ে মূত্রনালীতে দাগ টিস্যু খোলার চেষ্টা করা যেতে পারে। একটি ছুরি বা লেজার ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করা যা মূত্রনালী দিয়ে সরানো হয়। কখনও কখনও দাগের টিস্যু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় এবং মূত্রনালী একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থির করা হয় যাকে ইউরেথ্রোপ্লাস্টি বলা হয়।
স্নায়ুর সমস্যাগুলির জন্য চিকিত্সাঃ স্নায়ু-সম্পর্কিত সমস্যার কারণে যদি ধরে রাখা হয় তবে আপনি বাড়িতে নিজের উপর একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করতে পারেন।
প্রস্রাব না হওয়া মহিলাদের জন্য চিকিত্সাঃ কারণ হিসাবে সিস্টোসিল বা রেক্টোসিলে আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে হালকা বা মাঝারি ক্ষেত্রে ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিত্সা করা যেতে পারে যা পেলভিক ফ্লোর পেশীকে শক্তিশালী করে। মূত্রাশয়কে ঠিক করার জন্য ভ্যাজাইনাল পেসারি নামে একটি রিং লাগিয়েও তাদের চিকিত্সা করা যেতে পারে।
প্রস্রাব না হওয়ার কারণ?
প্রথমে আপনি যখন প্রস্রাব করেন তখন ঠিক কী সমস্যা হয় তা জানতে হবে। আপনার মূত্রাশয় আপনার প্রস্রাব জমা করে রাখে এবং মূত্রাশয় ভরে গেলে তা বাহিরে বের করে দেয়। যখন তা বাহিরে বের হতে পারেনা তখন অনেক সমস্যার সাথে সাথে ঘা ও হয়ে জেতে পারে তাই প্রস্রাবের রাস্তায় ঘা হলে করণীয় হিসেবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিন।
প্রস্রাব না হওয়ার সমস্যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। এই কারণগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেঃ
- আপনার শরীর থেকে প্রস্রাব বের হওয়ার পথে বাধা
- কিছু ওষুধগুলি খাওয়ার জন্য হতে পারে
- স্নায়ু সমস্যা যা আপনার মস্তিষ্ক এবং মূত্রতন্ত্রের যোগাযোগের পদ্ধতিতে বাধা দেয়
- সংক্রমণ এবং ফোলা যা আপনার শরীর থেকে প্রস্রাব বের হতে বাধা দেয়
- একটি অস্ত্রোপচার অপারেশনের জন্য আপনাকে দেওয়া ওষুধের জটিলতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে
এছাড়াও আরো অন্যরকম কিছু কারণ আছে যা হলঃ
- ব্লকেজ
- ওষুধ
- স্নায়ু সমস্যা
- স্ট্রোক
- ডায়াবেটিস
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
- মেরুদণ্ড বা শ্রোণীতে আঘাত
- টিউমার এবং একটি হার্নিয়েটেড ডিস্ক থেকে মেরুদণ্ডের উপর চাপ
- যোনি প্রসব
প্রস্রাব না হলে করণীয় - শেষ কথা
প্রস্রাব না হওয়া একটি ব্যথাজনক এবং জীবন-হুমকির মত অবস্থা হতে পারে। যদিও চিকিত্সার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার পাওয়া যায় কিন্তু যদি ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হয় তাহলে প্রস্রাব না হলে করণীয় হিসেবে ডাক্তারের থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। একই ভাবে ছাগলের প্রস্রাব না হলে করণীয় হিসেবে পশু ডাক্তারের কাছে দেখাতে পারেন। [জব আইডি=২২৪৯৮]
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url