এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত

এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, এমন কিছু ভুল ধারণা নিয়ে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। চলুন দেখে নেয়া যাক, এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত।

পেজ সূচিপত্র: এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত

উপস্থাপনা

এইডস প্রাণঘাতী একটি রোগ। ১৯৮০-র দশকে সর্বপ্রথম এই রোগটি চিহ্নিত করা হয়। এরপর থেকেই মূলত বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। বিশ্বাস স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। যদিও বর্তমান সময়ে আগের তুলনায় এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। 

জনসচেতনতার অভাবে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার যদি কোন ব্যক্তি এইডস রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে সে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নর শিকার হয়। আর এর কারণ হলো এইডস সম্পর্কে অজ্ঞতা। এইডস সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এই ভুল ধারণা গুলোর কারণে, বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

যাই হোক, এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সে ভুল ধারণা গুলো সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সেই ভুল ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত

এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, আপনি এইডস সংক্রান্ত এই ভুল ধারণা গুলো এড়িয়ে না চলেন, তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। এইডস সংক্রান্ত ভুল ধারণা গুলো শুধু এড়িয়ে চললেই হবে না, বরং সেগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সেই ভুল ধারণা গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 
তাই আপনি যদি এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলের এই অংশটি খুবই মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। মনোযোগের সাথে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়লে, এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত। 
  • এইডসে আক্রান্ত মৃত্যু নিশ্চিত: এইডসে আক্রান্ত হলেই মৃত্যু হবে এই ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে স্বাভাবিক লোকের মত জীবন যাপন করা সম্ভব। 
  • এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্তানও এইডস আক্রান্ত হবে: এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্তানও এইডস আক্রান্ত হবে, এই কথায় ভিত্তিহীন। কেননা, এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক হতে পারে। তবে এর চেয়ে আক্রান্ত রোগী সন্তান নিতে চাইলে অবশ্যই আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।  
  • এইডস রোগের কোন চিকিৎসা নেই: অনেকেই ধারণা করেন যে,  এইডস রোগের কোন চিকিৎসা নেই। আসলে এরকম ধারণা করা ঠিক নয়। অন্যান্য রোগের মত এইডস রোগের প্রতিষ্ঠিত কোনো চিকিৎসা নিয়ে বটে, তবে বিশেষ কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে এইডস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 
  • চুমুর মাধ্যমে এইডস ছাড়ায়: হ্যান্ডসেট, কোলাকুলি কিংবা চুমুর মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না। 
  • এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে এইডস ছাড়ায়: এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলেও এইডস হারায় না। কেননা এইডস হয়েছে কোন রোগ নয়। তা নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমিক কেবলমাত্র অন্যদের মাঝে ট্রান্সমিটেড হতে পারে। 
  • এইডস চক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করলে এইডস হয়: এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করলে এইডস হয় না। 
  • এইচআইভি এবং এইডস একই: এইচআইভি এবং এইডস এক নয়। এইচআইভিতে আক্রান্ত হলে এইডস নাও হতে পারে। এরস হলো এইচআইভি তে আক্রান্ত হওয়ার চূড়ান্ত ধাপ। 
  • মশার দ্বারা ছড়াতে পারে এইচআইভি: মশা বা অন্য কোন পোকামাকড়ের মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না। 

এইডস প্রতিরোধে করণীয়

এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সে বিষয়ে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে এইডস প্রতিরোধে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। এইডসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার একমাত্র উপায় হলো সাবধানতা অবলম্বন করা।
অর্থাৎ যে সকল কাজ করলে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে সকল কাজকর্ম সচেতনভাবে এড়িয়ে চলা। উপনি যদি, নিম্ন বর্ণিত এইডস প্রতিরোধে করণীয় কাজ সমূহ যথাযথভাবে করতে পারেন তাহলে, আশা করা যায় এইডস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। আশা করি নিচে উল্লেখিত, এইডস প্রতিরোধে করণীয় কাজের সমূহ সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হতে পারবেন। 
  • ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
  • একাধিক যৌন সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক না রাখা
  • বৈধ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই যৌন সম্পর্ক সীমাবদ্ধ রাখা
  • যৌন সঙ্গী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া
  • যেকোনো ধরনের সেক্সের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা
  • ডিসপোজিবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা, এবং একই সিরিঞ্জ অনেক জন ব্যবহার না করা
  • PrEP (pre-exposure prophylaxis) গ্রহণ করা

এইডস হলে করণীয়

এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সে ভুল ধারণা গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। নিচে এইডস হলে করণীয় কি? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। আশা করি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে করণীয় কি? 

কোন কারণে যদি আপনি এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে যান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। অনেকেই মনে করে যে এইডস হলেই তার মৃত্যু অবধারিত। আসলে এমনটি মনে করা সঠিক নয়। কেন না এইডস হলেই যে তার মৃত্যু হবে এমন কোন বিষয় নেই। এর চেয়ে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যদি ডাক্তারের পরামর্শ সকল নিয়ম কানুন মেনে জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে সাধারণ মানুষের মতোই আপনিও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। 

তবে এর জন্য সর্বপ্রথম আপনার মনোবলকে শক্ত করতে হবে। আপনি যদি মনোবল হারিয়ে ফেলেন তাহলে তো আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। মনে তাই সবসময় আপনাকে মনের দিক থেকে শক্তিশালী থাকতে হবে। যাই হোক, এর চেয়ে আক্রান্ত হয়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। নিচে উল্লেখিত এইডস হলে করণীয়, কাজসমূহ যথাযথভাবে করতে পারলে আশা করা আপনি উপকৃত হতে পারবেন। 
  • পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়া
  • যেকোনো ধরনের আঘাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা
  • সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
  • ডাক্তারের পরামর্শক্রমে নিয়মিত ঔষধ সেবন করা
  • পরিবারের সাথে বিষয়টি শেয়ার করা 
  • যৌন সঙ্গীর সাথেও এর চেয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি শেয়ার করা

উপসংহার

এইডস সম্পর্কে সমাজে যে সকল ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। এবং কিভাবে খুব সহজেই আপনি প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন সেই বিষয়ে গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে এইডসে আক্রান্ত হলে করণীয় কি, সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 
যাই হোক উপরে উল্লেখিত, এইডস সম্পর্কে কিছু ভূল ধারণা যা এড়িয়ে চলা উচিত, সেই বিষয়ে সম্পর্কে উপর উল্লেখিত তথ্যবহুল আলোচনা আপনার উপকারে আসবে। উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো আশা করি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪