রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ - রেকটাম ক্যান্সার কি

রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই রোগটিকে চিহ্নিত করতে পারি। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ - রেকটাম ক্যান্সার কি

রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ - রেকটাম ক্যান্সার কিঃ ভূমিকা

আমাদের পরিপাকতন্ত্রের শেষ অংশটুকু কে বলা হয় রেকটাম বা মলদ্বার। অনেক সময় এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যেন আপনারা এই লক্ষণ গুলো দেখে খুব সহজে রোগ নির্ণয় করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ১০ টি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

এছাড়া রেকটাম ক্যান্সার কি? রেকটাম ক্যান্সার কেন হয়? রেকটাম ক্যান্সার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

রেকটাম ক্যান্সার কি?

রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে আমাদেরকে রেকটাম ক্যান্সার কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আমরা অনেকেই কলোরেক্টাল ক্যান্সার এই নামটি শুনে থাকবো। যা শুরু হয় পায়ুপথ থেকে। তবে সূত্রপাতের স্থানভেদ কে 'কোলন ক্যান্সার' অথবা রেকটাম ক্যান্সার বলা হয়। রেকটাম ক্যান্সার কি? বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

পরিপাকতন্ত্রের শেষ অংশকে বলা হয় মলদ্বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এর উপসর্গ গুলো প্রায় একই রকম হয়। রোগীর কথা শুনে কখনো রোগ নির্ণয় করা যায় না। এখানে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে মলদ্বারের যে ক্যান্সার হয় তাকেই রেকটাম ক্যান্সার বলে।

রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ

রেকটাম ক্যান্সার অথবা মলদ্বারে ক্যান্সার হলে বিভিন্ন রকমের উপসর্গ দেখা যায় যেমন, মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন, খুব সকালে পায়খানার বেগ হওয়া, মলত্যাগের পর আরো মল রয়ে গেছে এরকম অনুভূতি হওয়া এ ছাড়া আরো বেশ কিছু রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ প্রকাশ পায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এখন রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯ টি উপায়

১। অন্ত্রের কার্যক্রম পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগী বেশিরভাগ সময় ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে থাকে।

২। সাধারণ অবস্থায় চাইতে মলের আকার পরিবর্তন হয় বা খুবই চিকন হয়ে থাকে।

৩। পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হয় অথবা মলত্যাগ করার সময় মল দিয়ে রক্ত বের হয়ে থাকে।

৪। সব সময় পেটে অস্বস্তি মনে হয়। রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

৫। মলত্যাগ করার পরও মনে হয় যে ভালোভাবে পেট খালি হয়নি আরো মল পেটে রয়ে গেছে।

৬। শরীর অত্যন্ত দুর্বল মনে হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমে যাওয়া।

৭। মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৮। খুব সকালে পেটে ব্যথা হওয়া অথবা পায়খানার চাপ দেওয়া। পেট সবসময় ফেঁপে থাকা।

রেকটাম ক্যান্সার কেন হয়?

রেকটাম ক্যান্সার কেন হয়? সে সম্পর্কে আগে আমাদেরকে জানতে হবে এরপরে এর চিকিৎসা করতে হবে। আমরা যদি রেকটাম ক্যান্সার কেন হয়? এর কারণ জানতে পারি তাহলে খুব সহজেই নিজেকে এখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারব। সাধারণত বড়লোকদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। অধিক পরিমাণে ধূমপান করার ফলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ আর জাতীয় উপাদান থাকলে যেমন সবজি ফলমূল ও রোগের আশঙ্কা কমায়। 40 বছরের পর থেকে এর আশঙ্কা বাড়তে থাকে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ফলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এগুলোকেই কোলেস্টেরল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। অধিক পরিমাণে ধূমপান করার ফলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

রেকটাম ক্যান্সার চিকিৎসা

ক্যান্সার কোনো স্টেজে বা কি অবস্থায় আছে তার ওপর নির্ভর করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা হয়। রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি ইত্যাদিও চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার হলো প্রথম চিকিৎসা। ক্যান্সার কোষে অন্ত্রের ভেতরে ছড়িয়ে পড়লে অন্ত্রের কিছু অংশ কেটে  ফেলা সম্ভব যাকে বলা হয় পার্শিয়াল কলেকটমি।

আরেকটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ওস্টোমি। যেখানে অন্ত্রের সুস্থ অংশ থেকে পেটের বাইরে ওপেনিং তৈরি করা হয় এবং  সেখানে একটি ব্যাগ বসানো হয়। মল এই ব্যাগে এসে জমা হয়। এ ছাড়াও আছে রেডিয়েশন থেরাপি যেখানে এক্স-রে ও প্রোটন-এর সাহায্যে ক্যান্সার  কোষ ধ্বংস করা হয়।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের খিচুনি হওয়ার ৫ টি লক্ষণ - খিচুনি হওয়ার নয়টি লক্ষণ

রেকটাম ক্যান্সার হলে এর প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করে নেওয়া। যদি রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হয় এবং মনে হয় রোগী বেশিদিন বাঁচবে না তাহলেও অপারেশন করা উচিত। এছাড়া রোগের অনেক কষ্ট হতে পারে। মলত্যাগের সময় প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হতে পারে তাই রোগীর কষ্টগুলোকে লাভ করার জন্য এর চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ - রেকটাম ক্যান্সার কিঃ উপসংহার

রেকটাম ক্যান্সার চিকিৎসা, রেকটাম ক্যান্সার কেন হয়? রেকটাম ক্যান্সার কি? রেকটাম ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ভালো থাকুন ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪