সায়াটিকা সারানোর উপায় - সায়াটিকা কেন হয়

কোমর ব্যথা পায়ের দিকে চলে গেলে তাকে সায়াটিকা বলে। সায়াটিকা সারানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা নেই। আজকের এই আর্টিকেলে সায়াটিকা সারানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি এখান থেকে সায়াটিকা সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ সায়াটিকা সারানোর উপায় - সায়াটিকা কেন হয়

সায়াটিকা সারানোর উপায় - সায়াটিকা কেন হয়ঃ ভূমিকা

সায়াটিকা একটা বেদনাদায়ক অবস্থার প্রতি নির্দেশ করে যা শরীরে সায়াটিকা নার্ভে কোন আঘাতের দ্বারা সৃষ্টি হয়। আজকের এই আর্টিকেলে সায়াটিকা সারানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়া সায়াটিকা কেন হয়? সায়াটিকা রোগের লক্ষণ, সায়াটিকা সারানোর উপায়, সায়াটিকা কি ভালো হয়? সায়াটিকার ব্যায়াম, সায়াটিকা অপারেশন খরচ, সায়াটিকা রোগের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

সায়াটিকা কেন হয়

সায়াটিকা সারানোর উপায় জানার আগে প্রথমে আমাদেরকে সায়াটিকা কেন হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যদি সায়াটিকা কেন হয়? পরিষ্কারভাবে কারণটি জেনে নিতে পারি তাহলে খুব সহজেই এর চিকিৎসা করানো যায়। সায়াটিকা বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তির ভেতরে ভোগেন। আমাদের পিঠের মাঝখানে যে লম্বা হাড়ের মতো রয়েছে সাধারণত যাকে আমরা কশেরুকা বলে থাকি।

আরো পড়ুনঃ ১৫ টি উপায়ে যেভাবে লম্বা হওয়া যায় - দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়

এরমধ্যে লম্বা দড়ির মত একটি অঙ্গ থাকে যাকে বলা হয় স্পাইনাল কর্ড। এই নার্ভগুলো আমাদের দেহে বিস্তার লাভ করে সাধারণত এগুলো বের হয় খুবই সরু ছিদ্র এর মধ্যে দিয়ে। কোন কারণে যদি ছিদ্রগুলো সংকুচিত হয় তাহলে নার্ভের চাপ পড়ে তখন বিভিন্ন রকমের উপসর্গ দেখা যায়। যার ফলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে।

যদি কোমরে এবং নার্ভের আশেপাশে টিউমার হয় তাহলে এ রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আঘাত জনিত কারণে নার্ভের চাপ পড়লে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়। কোমরের হাট বেড়ে গিয়ে নার্ভের চাপ খেলে ব্যথা পায়ে চলে যায়। যার ফলে সায়াটিকা হয়ে থাকে। বাচ্চা হওয়ার সময় মহিলাদের কোমরে প্রচন্ড ব্যথা হয়। অনেকে আবার বাচ্চা হওয়ার সময় কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে।

সায়াটিকা রোগের লক্ষণ

সায়াটিকা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা যদি সায়াটিকা রোগের লক্ষণ গুরু জেনে নিতে পারি তাহলে খুব সহজেই এ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবো। আপনাদের জানা সুবিধার্থে সায়াটিকা রোগের লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • সায়াটিকা রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পিঠের নিচের অংশে পায়ের পিছনে এবং নিতম্বের দুটো গোলাকার মাংসল অংশে ব্যথা।
  • পায়ে জ্বালানির মতো অনুভূতি হওয়া।
  • পায়ের পাতাগুলোতে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি ও নড়াচাড়ায় আঘাত লাগা।
  • একটা পা বা পায়ের পাতায় ঘনঘন অসাড়তা। একটা পায়ে দুর্বলতা।
  • পা অথবা পায়ের পাতা নড়াচড়া, দাঁড়িয়ে থাকতে অথবা হাঁটতে অসুবিধা হওয়া।
  • মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানো। পায়ের দুর্বলতা। চলাফেরা করতে অসুবিধা হওয়া।

সায়াটিকা সারানোর উপায়

আমাদের দেহের সবখানেই রয়েছে নার্ভ বা স্নায়ু। আমাদের পিঠের মাঝখানে যে লম্বা হাড়ের মতো অংশ রয়েছে সাধারণত তাকে আমরা স্পাইন বলে থাকি। এর মধ্যে লম্বা দড়ির মতো একটি অঙ্গ থাকে যাকে বলা হয় স্পাইনাল কর্ড। অনেক সময় আমাদের নার্ভগুলোতে চাপ পড়লে উপরের উপসর্গগুলো দেখা যায় যার ফলে সায়াটিকা হয়েছে এটি বোঝা যায়। এখন আমরা সায়াটিকা সারানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী সায়াটিকা ব্যথা খুব একটা কঠিন কিছু নয় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঠিকমতো ওষুধ খেলে এবং চিকিৎসা নিলে এখান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য আমাদেরকে নিয়মিত ব্যায়াম এবং রুটিন অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হবে।

২। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আমরা যদি নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকি এবং আমাদের শরীরকে সবসময় ফিট রাখতে পারি তাহলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সায়াটিকা সারানোর উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো এটি। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে অবশেষে সেগুলো শিখে প্রতিনিয়ত করতে হবে।

৩। মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে এই রোগ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে তাই সকল মিষ্টি জাতীয় এবং প্যাকেটজাত এছাড়া বাইরের খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

৪। সবুজ শাকসবজি বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। প্রদাহ কমাতে বাড়িতে তৈরি আদা গ্রিন টি খুব সহায়ক হতে পারে। এছাড়া নিজের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। গোসলের সময় গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

৫। শক্ত কোন বিছানার উপর ঘুমাতে হবে আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন খুব বেশি শক্ত হয়ে না যায়। নরম বিছানায় ঘুমানোর কারণে এ রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্ত কোন অভিসারে ঘুমাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার দশটি নিয়ম

৬। ভারি কোন কাজ করা যাবে না। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না যার ফলে এর ব্যথা আরো বেশি হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৭। শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। শরীরের ওজন যেন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরী।

সায়াটিকা কি ভালো হয়

যাদের সায়াটিকা হয়েছে সাধারণত তারা সায়াটিকা কি ভালো হয় এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। আপনি যদি উপরের উপায় গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে সায়াটিকা কি ভালো হয়? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন। সাধারণত সায়াটিকা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়। যদি না ভালো হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাক্তার পরীক্ষা করার পরে যে চিকিৎসা দিবে আমাদেরকে সে সকল চিকিৎসা করাতে হবে। এর জন্য ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকরী। সায়াটিকা রোগের সাথে যুক্ত ব্যথা উপসর্গগুলো দেখা দিলে ফিজিওথেরাপি নেওয়া এর জন্য খুবই কার্যকরী। এই ব্যথাগুলো ধীরে ধীরে নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মাসাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সায়াটিকা প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই যদি ফিজিওথেরাপীর পরামর্শ নেওয়া যায় এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা যায় তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা এ রোগ থেকে মুক্তি পাবো। এছাড়া রোগ যদি গুরুতর হয়ে যায় তাহলে অর্থ প্রচার করাতে হবে। এ অস্ত্র প্রচার করলে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনি ঠিক হয়ে যাবেন।

সায়াটিকার ব্যায়াম

আপনার যদি সায়াটিকা রোগ নির্ণয় হয় তাহলে সায়াটিকার ব্যায়াম গুলোকে অবলম্বন করে আপনি এ রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারবেন। এটি খুবই সাধারণ একটি রোগ যা নিজে থেকেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। যদি আপনি সায়াটিকার ব্যায়াম গুলো সঠিকভাবে করতে পারেন।

সামনে ঝুঁকে বসা বা দাঁড়িয়ে থাকা --  এই কাজ আপনার পিঠের নিচের অংশে কটি দেশ ও হারভেস্টিং মাংসপেশিতে টান তৈরি করে এবং পিটকে শক্ত করে সাইটিকা বাড়িয়ে দেয়।

হার্ডল স্ট্রেচ বা সীমার অতিরিক্ত পেশী প্রসারণ করা -- এ কাজে আপনার পিঠ, পশ্চাৎদেশ ও হ্যামস্ট্রিং এর পেশী তন্তু ছিঁড়ে যায়, কটিদেশ মোচড় খায় যখন আপনি সামনের দিকে ঝুঁকে এসব করেন।

বারপিজ ব্যায়াম -- এই উচ্চশক্তির ব্যায়াম পিঠ ও কোমরের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। বার বার সামনে ঝোঁকা ও লাফানো সায়াটিয়াকার লক্ষণসমূহ বাড়িয়ে দেয়।

বেন্ট ওভার রো -- ভার উত্তোলোন ব্যায়াম কোমরের ক্ষতি করে। বিশেষ করে যদি আপনি এটা মেরুদন্ড ভাঁজ করে করেন। এক্ষেত্রে ডিস্ক প্রলাপ্স ও হয়ে থাকে। 

জোড়া পা উঠানো -- চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা উঠানো-নামানো একই সাথে এই ব্যায়াম পেটের ও পায়ের মাংশপেশীকে কর্মক্ষম করে। কিন্তু এটা সায়াটিকার সমস্যাগুলোকে বাড়িয়ে দেয়।

রিভল্ভড ট্রায়াঙ্গেল পোজ -- এই ব্যায়াম আপনার মেরুদন্ড, কটিদেশ এবং হ্যামস্ট্রিং কে টান তান করে যেটা সায়াটিকার লক্ষণকে বাড়িয়ে দেয়। 

সাইকেল চালানো -- সাইকেলিং এ মেরুদন্ড ও সায়াটিকা নার্ভে চাপ পড়ে বিশেষ করে সিট যদি শক্ত হয়। সামনে ঝুঁকে সাইকেল চালালে নার্ভে চাপ পড়ে যদি সীট ও হ্যান্ডেলের পজিশন ঠিকভাবে না থাকে।

ভার বা ওজন সহ উবু হয়ে বসা -- এই ক্ষেত্রে নার্ভ ও ডিস্কে অনেক চাপ পড়ে এবং এটা পায়েও অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। 

পা ও মেরুদন্ডের সাহায্যে বৃত্ত তৈরি করুন ব্যায়াম -- এই ব্যায়ামে আপনার সায়াটিক নার্ভে অত্যধিক চাপ পরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

খেলাধুলা -- আমরা জানি যে খেলাধুলা করলে আমাদের শরীর ভালো থাকে। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে। সকল ধরনের ভারী খেলাধুলা এড়িয়ে চলুন, এক্ষেত্রে তড়িৎ নড়াচড়ায়

তথ্যঃ aspc.com

সায়াটিকা অপারেশন খরচ

অনেক সময় যদি সায়াটিকা রোগের ব্যথা অত্যন্ত পরিমাণে বেড়ে যায় এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে তখন আমাদেরকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তার বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি অস্ত্রোপচার এর প্রয়োজন হয় তাহলে অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে অসুখটিকে সারিয়ে থাকে। এর জন্য সায়াটিকা অপারেশন খরচ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে।

সংকুচিত সেনা যখন রক্ষণে দুর্বলতা হয়ে যায় এবং ব্যাথা হয় তখন সবচেয়ে আদর্শ বিকল্প হল সার্জারি করা। যদি আপনি ভারত থেকে চিকিৎসা নিতে চান তাহলে সবথেকে ভালো চিকিৎসা পেয়ে যাবেন। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেলে এ ধরনের অপারেশন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অপারেশন খরচ কত এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই।

সায়াটিকা রোগের ঔষধ

সায়াটিকা ব্যথা কমানোর জন্য সায়াটিকা রোগের ঔষধ সেবন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ পা এবং কমন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সায়াটিকা রোগের ঔষধ খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার গন সাধারণত রোগীকে পূর্ণ বিশ্রাম দিয়ে থাকে। কারণ এ ধরনের রোগীর প্রধান চিকিৎসা হলো বিশ্রামে বসবাস করা। এর জন্য অনেক সময় আমাদের ব্যথা অনুভব হতে পারে যার জন্য ডাক্তার ব্যথার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ লিখে থাকেন। সাবধানতার সাথে ব্যথার ওষুধ গুলো খাওয়া পাকস্থলীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সায়াটিকা সারানোর উপায় - সায়াটিকা কেন হয়ঃ উপসংহার

সায়াটিকা সারানোর উপায়, সায়াটিকা রোগের ঔষধ, সায়াটিকা অপারেশন খরচ, সায়াটিকার ব্যায়াম, সায়াটিকা কি ভালো হয়? সায়াটিকা সারানোর উপায়, সায়াটিকা রোগের লক্ষণ, সায়াটিকা কেন হয়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। ২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪