বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? এই প্রশ্নটি অনেকের থাকে। আপনারা যারা বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়ঃ ভূমিকা

বিলিরুবিন এর সহজ নাম হলো জন্ডিস। আমরা অনেকেই বিলিরুবিন বললে বুঝতে পারিনা। আজকের এই আর্টিকেলে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া বিলিরুবিন কি? বিলিরুবিন কেন হয়? বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? বিলিরুবিন বেড়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনি এখান থেকে বিলিরুবিন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

বিলিরুবিন কি?

প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে বিলিরুবিন কি? হিম ভেঙ্গে যে সমস্ত বজ্র পদার্থ তৈরি হয় হলুদ পিত্ত রঙ্গক বিলিরুবিন তাদের অন্যতম। বিলিরুবিন বিজারিত হলে সবুজ বিলিভার্ডিন তৈরি হয়। দেহে যদি বিলিরুবিন বেড়ে যায় তাহলে তাকে জন্ডিস বলা হয়। রক্তের বিলিরুবিন যকৃতের গ্লুকো ইউরোনিক অ্যাসিডযুক্ত হয়ে জলদ্রাব্য হয় এবং বৃত্তের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছায়।

আরো পড়ুনঃ মাসিকের ব্যথা কমানোর ৫টি উপায় - মাসিকের ব্যথা কমানোর ৪টি ওষুধ

যেখান থেকে বিলিরুবিন দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অর্ধেক বিলিরুবিন থেকে ইউরোবিলীনোজেন উৎপন্ন হয় যা অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে হলুদ ইউরোবিলিন হিসেবে প্রসাবে পৌঁছায় বলে প্রসাবের রং হলুদ হয়ে থাকে।

বিলিরুবিন কেন হয়?

রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা যায়। আমাদের রক্তের লোহিত রক্তকণিকা গুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারের প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্ত নারীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের প্রবেশ করে। পেট থেকে বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

রক্তে যদি বিলেরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে জন্ডিস দেখা দেয়। লিভারের প্রদাহ বিলিরুবিনের উৎপন্ন হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। যার কারণে রক্তে বিলেরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে তার জন্ডিস সৃষ্টি করতে পারে। পিত্তনালীর প্রদাহে বিলুরুবিন শোষন ব্যাহত হয় ফলে বিলুরুবিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।

পিত্তনালীতে ব্লক হলে লিভার বিলিরুবিন সরাতে ব্যর্থ হয় যার ফলে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং জন্ডিস দেখা যায়। এছাড়া বংশগত রোগের কারণে বিলিরুবিন শোষণ হতে বাধা দেয় যার ফলে বিলিরুবিন এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে জন্ডিস সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত উক্ত কারণেই বিলিরুবিন হয়ে থাকে।

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়

রক্তে বিলিরোপিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা যায়। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকা গুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারের প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্ত নালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের প্রবেশ করে। এরপরে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয় তা আপনারা মোটামুটি সবাই জানেন।

তারপর বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমে যে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে রক্তের বিলিরুবিন বেড়ে যায় আর জন্ডিস দেখা দেয়। রক্তে বিলেরোপনের মাত্রা বেড়ে গেলে চোখ এবং প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। ত্বক বা মুখের ভেতরে হলুদ দেখা যায়। এছাড়া খাবারে অরুচি দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ ১৫ টি উপায়ে যেভাবে লম্বা হওয়া যায় - দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়

বমি বমি ভাব এবং মাঝেমধ্যে বমি হয়ে থাকে। অবসাদ, জ্বর জ্বর ভাব, কখনো পেট ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় শরীরের চুলকানি দেখা যায়। সাধারণত রক্তের বিলির অভিনয়ের মাত্রা বেড়ে গেলে এই লক্ষণ গুলো দেখা যায়। পরিশেষে রক্তে যদি বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে জন্ডিস হয়ে থাকে।

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে করণীয়

রক্তে যদি বিলিরুবিন বেড়ে যায় তাহলে আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে সেক্ষেত্রে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে করণীয়গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে। যদি এর মাত্রা কম থাকে তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আমরা আমাদের শরীর থেকে বিলিরুবিন এর মাত্রা কমিয়ে দিতে পারি।

১। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। আমরা যদি বিশ্রাম না নেই তাহলে আমাদের যকৃতের উপর চাপ বাড়বে যার ঘরে আরো বাড়বে তাই বিলিরুবিন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিলে তা কমিয়ে আনা সম্ভব।

২। আপনি যেই স্বাভাবিক খাবার খেয়ে থাকেন সেগুলোই গ্রহণ করুন। খাবার নিয়ে বেশি বিধি-নিষেধ করার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার শরীরের জন্য যে সকল খাবার পুষ্টিকর সেগুলো খেতে হবে। তাই খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন।

৩। স্বাভাবিক মাত্রা পানি পান করুন। আমরা জানি যে পানি শূন্যতার কারণে অনেক সময় বিলিরুবিনের মাত্রা রক্ত বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পান, বিভিন্ন রকমের ফলের জুস খেলে রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা কমে যায় এর কোন বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা নেই।

৪। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং নিজের শরীরকে রোগ জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তাই রক্তে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে গেলে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।

৫। রক্তে যদি বিলিরুবিন এর মাত্রা পেরে যায় তাহলে যকৃতের কোষ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়ঃ উপসংহার

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়? বিলিরুবিন বেড়ে গেলে করণীয়, বিলিরুবিন কি? বিলিরুবিন কেন হয়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার দশটি নিয়ম

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪